
ন্যানোফাইবার বর্তমান সময়ে গবেষনার একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয়।এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের ফাইবার যার আকার ১০০ন্যানোমিটার বা তার কাছাকাছি। ন্যানোফাইবারের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারনে বর্তমানে অনেক গবেষনা হলেও মানুষ এর উতপত্তি করা শুরু করে প্রায় চার শতাব্দী পূর্বে। বর্তমানে এই ধরনের ফাইবার উৎপাদনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হচ্ছে ইলেক্ট্রোস্পিনিং পদ্ধতি। বিভিন্ন ধরনের পলিমার যেমনঃ কোলাজেন,সেলুলোজ, সিল্ক ফিব্রোইন,কেরাটিন ইত্যাদি থেকে ন্যানোফাইবার উৎপাদন করা যায়। বর্তমানে গবেষকরা রক্তস্রোতে ভেসে চলা বিশেষ ধরনের ক্যান্সার কোষ ধরার জন্য এটি ব্যবহার করেন। এই কাজে ন্যানোফাইবারের সাথে এন্টিবডি কোটিং করা হয় যা পরবর্তীতে ক্যান্সার কোষের সাথে বাইণ্ডিং করতে পারে যা কোষটিকে ধরতে সাহায্য করে। ন্যানোফাইবার ক্ষতস্থানে তরুণাস্থি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। ভেষজ ওষুধ তৈরিতেও ন্যানোফাইবারের ব্যবহার রয়েছে। MIT র গবেষকরা সম্প্রতি কার্বন ন্যানোফাইবার ব্যবহার করে এক বিশেষ ধরনের লিথিয়াম আয়ন ইলেক্ট্রোড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা কিনা বর্তমানের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চেয়ে চারগুন বেশি স্টোরেজ ক্ষমতাসম্পন্ন। ন্যানোফাইবার রাসায়নিক বাষ্প শোষন করে এইজন্য তাদেরকে রঙ পরিবর্তনশীল সেন্সর হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলো যেকোন স্বাভাবিক গতিকে বিদ্যুতে রুপান্তর করার ক্ষমতা রাখে যা কিনা মোবাইল ফোনের মত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চার্জ করার কাজেও ব্যাবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে যারা গবেষনার দিকে আগ্রহী তাদের জন্য একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে ন্যানোফাইবার!
Asif Mahbub, Editor – Textilebangla24.com Department-Fabric Engineering Batch – 41